২০০৮ সালে ১০০০ টাকায় ১ ভরি স্বর্ণ কিনতে কত নোট লাগত জানেন? আজ একই স্বর্ণ কিনতে কত নোট লাগছে জানুন এবং বুঝুন টাকার প্রকৃত মান কমেছে নাকি দ্রব্যমূল্য বেড়েছে।


১০০০ টাকার নোট বনাম স্বর্ণ: অতীত ও বর্তমান

বাংলাদেশে ১০০০ টাকার নোট চালু হয় ২০০৮ সালে। তখন ২২ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের দাম ছিল প্রায় ২৬,০০০ টাকা। অর্থাৎ, মাত্র ২৬টি ১০০০ টাকার নোট দিয়ে সহজেই ১ ভরি স্বর্ণ কেনা যেত।

বর্তমানে (২০২৫ সালে) সেই একই ২২ ক্যারেট ১ ভরি স্বর্ণের দাম দাঁড়িয়েছে প্রায় ১,৮৮,০০০ টাকা। এখন একটি ভরি স্বর্ণ কিনতে প্রয়োজন ১৮৮টি ১০০০ টাকার নোট।

---

হিসাবটা সহজভাবে দেখা যাক

২০০৮ সালে:

২৬,০০০ ÷ ২৬ = ১,০০০ টাকা

বর্তমানে:

২৬,০০০ ÷ ১৮৮ = ১৩৮.২৯ টাকা

অর্থাৎ, ২০০৮ সালের একটি ১০০০ টাকার নোট আজ কার্যত মাত্র ১৩৮.২৯ টাকার সমান ক্রয়ক্ষমতা বহন করছে।

আসল প্রশ্ন: দ্রব্যমূল্য বেড়েছে নাকি টাকার মান কমেছে?

অনেকে ভাবেন বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হয়েছে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে—

👉 দ্রব্যের দাম বাড়েনি, বরং টাকার মূল্যমান কমেছে।

কারণ স্বর্ণ একটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে স্থিতিশীল সম্পদ। আর স্বর্ণের সাথে তুলনা করলে বোঝা যায়, সময়ের সাথে সাথে টাকা তার শক্তি হারিয়েছে এবং ক্রয়ক্ষমতা অনেক কমে গেছে।

উপসংহার

২০০৮ সালের ১০০০ টাকার নোট আজ কাগজে ১০০০ টাকা হলেও, বাস্তবে তার প্রকৃত মান ১৩৮ টাকা মাত্র।

এটাই আসলে মুদ্রাস্ফীতির বাস্তব রূপ—টাকা দুর্বল হচ্ছে, আর জিনিসপত্র কিনতে লাগছে আগের তুলনায় অনেক বেশি টাকা।