নিচে কিছু প্রধান কারণ দেওয়া হলো যেগুলো স্বর্ণের দামের ঊর্ধ্বগতি বা ওঠানামার জন্য দায়ী:

1. আন্তর্জাতিক বাজার ও ডলার ভ্যালু 

স্বর্ণ সাধারণত মার্কিন ডলারে লেনদেন হয়। যদি ডলার দুর্বল হয়, স্বর্ণ বেশিরভাগ দেশের স্থানীয় মুদ্রায় তুলনায় সস্তা হবে; কিন্তু অনেক সময়েই স্বর্ণে বিনিয়োগ বেড়ে যায় ডলারের অনিশ্চয়তার কারণে। ডলারের মান কমলে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে, দাম বাড়ে। 

2. বাজেট, সুদের হার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি 

যখন সুদের হার কম থাকে, স্বর্ণের মতো নন-ইনস্টল্যামেন্ট (no yield) সম্পদের প্রতি আগ্রহ বাড়ে কারণ অন্যান্য বিনিয়োগ থেকে লাভ কম। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কঠোরতা কমায় বা রক্ষণশীল নীতি অবলম্বন করে, স্বর্ণ বিনিয়োগে ঝোঁক বাড়ে। 

3. মুদ্রাস্ফীতি (Inflation) 

মূল্যবৃদ্ধি বা মুদ্রাস্ফীতি বেশি হলে মানুষ সাধারণত স্বর্ণকে একটি সুরক্ষিত সম্পদ হিসেবে দেখে, কারন মুদ্রার মূল্য কি হবে তা নিশ্চিত নয়। স্বর্ণ অনেক সময় “inflation hedge” হিসেবে কাজ করে। 

4. আর্থ-রাজনৈতিক ও গ্লোবাল অস্থিরতা 

যুদ্ধ, রাজনৈতিক উত্তেজনা, অর্থনৈতিক সঙ্কট ইত্যাদিতে স্বর্ণের চাহিদা বাড়ে কারণ এ ধরনের সময়গুলোতে মানুষ ঝুঁকি কমাতে সুরক্ষিত সম্পদ খোঁজে। 

5. সরবরাহ ও আমদানির খরচ 

স্বর্ণ খনন, নিষ্কাশন, শিপিং ও আমদানির খরচ বাড়লে বা শুল্ক, ট্যাক্স বাড়লে স্থানীয় বাজারে দামে বাড়তি চাপ পড়ে। 

6. বিনিয়োগ ও স্পেকুলেশন

যদি অনেকেই স্বর্ণ কিনতে শুরু করে, বা স্পেকুলেটররা আশঙ্কা করে দাম বাড়বে, তাহলে চাহিদা দ্রুত বাড়ে, দাম আরও দ্রুত বাড়ে।